কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :
বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংঙ্গচুর, নিয়োগ বানিজ্য জড়িত থাকার অভিযোগের পর এবার টাকা দিলেই মিলবে উপবৃত্তি, শিক্ষার্থীদের এমন প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নিলগঞ্জ ইউনিয়নের আক্কেলপুর নুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ডেট আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়েও মিলেছে এসব তথ্যের সত্যতা। শিক্ষার্থীরা জানান, ৬’শ টাকা দিলে সবাইকে উপবৃত্তি পাইয়ে দেবেন বলে অর্থ আদায় করেছেন এই শিক্ষক। এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিগত দিনে ঘুষ নিলে তাদের তালিকায় নাম না আসার পরেও টাকা ফেরত দেয়নি অভিযুক্ত শিক্ষক মান্নান।
ষষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষার্থী মোসাম্মৎ নুসরাত, মো: সোলায়মান, গোলাম রাব্বি, মোঃ জুবায়ের বলেন, আমি স্যারের কাছে ৬শ’ত টাকা দিয়েছি উপবৃত্তির পাবার জন্য।
অষ্টম শ্রেণী শিক্ষার্থীর বনি আমিন বলেন, উপবৃত্তির তালিকায় নাম দেয়ার জন্য আমার বাবা মাদ্রাসায় এসে স্যারের কাছে ছয়শ টাকা দিয়ে গেছে। দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী মোসা: নাদিয়া বলেন, উপবৃত্তির জন্য অনেক আগে ৬’শত টাকা দিয়েছি। এবছর টাকা দেয়নি।
এমন অভিযোগ একাধিক শিক্ষার্থীর।
মাদ্রাসার সহকারি মৌলভী,শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অফিস খরচের জন্য ৬শত টাকা করে নিয়েছে। অনেকের কাছ থেকে ৬’শত টাকার কমও নিয়েছে।
এবিষয়ে সহকারী সুপারিনটেন্ডেট আবুল কালাম সত্যতা স্বীকার বলেন, উপবৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার জন্য অফিস খরচ বাবদ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করছে।
কত কি টাকা উত্তোলন করছেন তা আমার জানা নেই। কারণ আমরা শিক্ষার্থীর পাঠদানে ব্যস্ত থাকি।
এবিষয় আক্কেলপুর মাদ্রাসার দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ডেট অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান বলেন, আমি ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে ভর্তি থেকে এ পর্যন্ত ৬’শত টাকা করে নিয়েছি। উপবৃত্তির জন্য আমি টাকা নেইনি।
শিক্ষকরা যদি বলেন, তারা টাকা উত্তোলনের সাথে শিক্ষকরা জড়িত। আমি না।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রবিউল ইসলাম বলেন, উপবৃত্তি পেতে টাকা দিতে হবে কেন।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের করা হবে।